অনুসরণকারী/follow

SOCIAL MEDIA

Translate

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

আতর আলীর স্বর্ণজয়ের গল্প: দারিদ্র্যকে হারিয়ে স্বপ্নপূরণের এক অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা


নদীয়ার রানাঘাট, এক ছোট্ট মফস্বল শহর থেকে উঠে আসা এক নাম, আতর আলী। আজ এই নামটি শুধু রানাঘাটের নয়, সমগ্র দেশের কাছে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। নেপালের পোখরার আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় দুটি স্বর্ণপদক জিতে দেশে ফিরেছেন আতর আলী, যিনি তাঁর জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে দারিদ্র্য বা প্রতিকূলতা কোনো কিছুরই ক্ষমতা নেই একজন স্বপ্নচারী মানুষকে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করার।আতর আলীর সাফল্যের পথচলা শুরু হয়েছিল এক সাধারণ স্কুল স্পোর্টসের লেবু দৌড় থেকে। তৃতীয় স্থান অধিকার করে তিনি পেয়েছিলেন একটি ছোট বাটি পুরস্কার। হয়তো সেদিন কেউ ভাবেনি যে এই ছোট্ট শুরুটা একদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের জন্য স্বর্ণপদক এনে দেবে। সেই শুরু, এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মহকুমা, জেলা, রাজ্য, এবং জাতীয় স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তিনি নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার। পূর্বে রুপো ও ব্রোঞ্জ পদক জিতলেও, এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে তিনি সোনা জয়ের স্বাদ পেলেন, যা তাঁর দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের ফল। নেপালের পোখরার প্রতিযোগিতায় ৪০০ মিটার এবং ২০০ মিটার উভয় দৌড়েই তিনি স্বর্ণপদক লাভ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।স্বপ্নপূরণের নেপথ্যে দিদির অবদান

আতর আলীর এই অসামান্য সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাঁর দিদির। ছোটবেলায় বাবা-মা মারা যাওয়ার পর দিদির কাছেই তিনি মানুষ হয়েছেন। দিদিই তাঁর জীবনে বাবা, মা, এবং বন্ধুর ভূমিকা পালন করেছেন। আতর আলী কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন যে, দিদির নিরন্তর সমর্থন, ত্যাগ এবং অনুপ্রেরণা ছাড়া এই উচ্চতায় পৌঁছানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। এই গল্পটি প্রমাণ করে যে পারিবারিক সমর্থন, বিশেষ করে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, একজন মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।দারিদ্র্যকে জয় করার এক অদম্য জেদ,আতর আলীর জীবন আমাদের শেখায় যে, দারিদ্র্য কখনোই স্বপ্ন পূরণের পথে অন্তরায় হতে পারে না, যদি থাকে অদম্য জেদ আর কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা। তিনি চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের প্রশিক্ষণ চালিয়ে গেছেন, কখনো হাল ছাড়েননি। তাঁর এই জয় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি অসংখ্য তরুণ-তরুণীর জন্য এক উজ্জ্বল বার্তা, যারা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের স্বপ্ন পূরণে দ্বিধাগ্রস্ত।ভবিষ্যতের স্বপ্ন এবং একজন প্রকৃত অনুপ্রেরণা,বৃহস্পতিবার রানাঘাটে ফিরে আতর আলী তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানান যে, বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে সোনা জিততে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তাঁর স্বপ্ন, ভবিষ্যতে দেশের হয়ে আরও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের নাম উজ্জ্বল করা। ইতিমধ্যে তিনি রাজ্য সরকার থেকে 'খেল সম্মান', 'খেলোশ্রী অ্যাওয়ার্ড', এবং 'রাজ্যপাল অ্যাওয়ার্ড' লাভ করেছেন, যা তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি।

তাঁর এই নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং সাফল্য দেশের অন্যান্য উঠতি খেলোয়াড়দের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আতর আলী প্রমাণ করেছেন যে, আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে যেকোনো বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব। তাঁর এই জয় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে স্বপ্ন দেখা এবং তা পূরণ করার অদম্য শক্তিই মূল চালিকাশক্তি। আতর আলীর এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্বপ্ন দেখতে ভয় পেও না, আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিশ্রম করতে কখনো পিছপা হয়ো না।

পুরো ভিডিও লিংকটি নিচে দেওয়া রইল 



#Dinkaalindia #AtraAli #GoldMedal #InternationalRace #Inspiration #OvercomingPoverty #FulfillingDreams #Sports #India




মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

স্টারলিঙ্ক ভারতে! ₹850 প্ল্যান? 🚀 ইলন মাস্কের ইন্টারনেট এবার আপনার ঘরে!

 

স্টারলিঙ্ক ভারতে আসছে: একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন!


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক অবশেষে ভারতে তাদের লাইসেন্স পেয়েছে, যা দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামোতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ট্রায়াল স্পেকট্রাম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যা স্টারলিঙ্কের ভারতে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের প্রথম ধাপ।

পুরো ভিডিওটা দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন

#StarlinkIndia #Starlink #SatelliteInternet #ElonMusk #DigitalIndia #InternetInIndia #TechNews #StarlinkPrice #StarlinkLaunch

রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

মস্তিষ্ক, নেগেটিভ মানুষ, চাপ সামলানোর টিপস

 আপনার মস্তিষ্ক প্রতিদিন প্রায় সত্তর হাজার ভাবনা তৈরি করে। তার মধ্যে অনেকটাই নেতিবাচক। আজকে আমি আপনাদের বলবো, মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, নেগেটিভ মানুষদের সাথে কিভাবে সামলাবেন, এবং চাপ কমানোর তিনটি সহজ টিপস।

মস্তিষ্কের তিনটি প্রধান অংশ আছে। নিওকোর্টেক্স, যেখানে আমাদের যুক্তি-বুদ্ধি কাজ করে। লিম্বিক সিস্টেম, যা আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্রেইন স্টেম, যা আমাদের শরীরের মূল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন আমরা ভয় পাই, তখন লিম্বিক সিস্টেম ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ মোড চালু করে, যার ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হলো, মস্তিষ্ক ভালো-মন্দ বোঝে না; আপনি যা ভাবেন, সেটাই সে সত্যি মনে করে।নেগেটিভ মানুষরা যেন আমাদের মস্তিষ্কে বিষ ঢেলে। তাদের থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে শোনেন, কিন্তু বিশ্বাস করবেন না। দ্বিতীয়ত, একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, দরজা বন্ধ নয়, জানালা খোলা রাখুন। আর তৃতীয়ত, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, কারণ অন্যরা আপনার মূল্য ঠিক করতে পারে না।

চাপ কমাতে তিনটি সহজ টিপস মেনে চলুন:

প্রথম, গভীর নিঃশ্বাস নিন — চার সেকেন্ডে শ্বাস নিন, চার সেকেন্ড ধরে রাখুন, চার সেকেন্ডে ছাড়ুন।দ্বিতীয়, পাঁচ মিনিটের জন্য নিঃশব্দে বসে থাকুন, ফোন বা অন্য কোনো স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।তৃতীয়, নিজেকে বলুন — “এটাও কেটে যাবে।”

মস্তিষ্কই আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। নেগেটিভ মানুষ এলে হাসুন, চাপ এলে গভীর শ্বাস নিন। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার, এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। নিজের মস্তিষ্ককে ভালোবাসুন, আর সুস্থ থাকুন!

পুরো ভিডিও লিংক --


শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫

চেনাব রেল সেতু: উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবের এক অসামান্য মেলবন্ধন

 


জম্মু ও কাশ্মীর: ভারতের প্রকৌশল দক্ষতা এবং দৃঢ় সংকল্পের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চেনাব রেল সেতু। প্রতিকূল ভূখণ্ড আর দুর্গম পরিবেশকে জয় করে এই সেতু নির্মাণ শুধু একটি প্রকৌশলগত কৃতিত্বই নয়, এটি ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা এবং ভবিষ্যৎমুখী অবকাঠামো তৈরির অঙ্গীকারের প্রতীক। সম্প্রতি এই সেতুর উপরে জাতীয় পতাকা ত্রিবর্ণ উত্তোলন করা হয়েছে, যা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে এক গভীর গর্বের সঞ্চার করেছে।

জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে রেলপথে যুক্ত করার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ এই চেনাব রেল সেতু। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের সবচেয়ে কঠিন অংশ এই সেতুটি। নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার (প্রায় ১১৭৮ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত এই সেতুটি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, তীব্র ঠান্ডা, এবং ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল – সব প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এই বিশাল কাঠামোটি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।


এই সেতু নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৌশল কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর নকশা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা ঘণ্টায় ২৬৬ কিলোমিটার বেগে আসা বাতাস এবং তীব্র ভূমিকম্পের ধাক্কা সহ্য করতে সক্ষম। ইস্পাতের তৈরি এই সেতুটির কাঠামোতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের মরিচারোধী ইস্পাত, যা দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।

চেনাব রেল সেতু শুধু একটি প্রকৌশল বিস্ময় নয়, এটি ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সেতু কাশ্মীর উপত্যকার মানুষের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে এবং পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

এই সেতুর নির্মাণ প্রমাণ করে যে ভারত এখন সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং ভবিষ্যৎমুখী অবকাঠামো নির্মাণে সক্ষম। তেরঙ্গার উত্তোলন শুধু সেতুর উপরে নয়, এটি প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মবিশ্বাস এবং সক্ষমতার প্রতীক। চেনাব রেল সেতু নতুন ভারতের অগ্রগতির এক উজ্জ্বল বার্তা বহন করে, যেখানে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দৃঢ় সংকল্পের সাথে মিলিত হয়। এই সেতু আগামী প্রজন্মকে উন্নত ও সংযুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখাবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, চেনাব রেল সেতুর নির্মাণ ভারতের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এটি কেবল একটি সেতু নয়, এটি সাহস, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন

 করবে।

ইতিহাসের বাষ্পে আজও ছুটছে পোল্যান্ডের ট্রেন: এক বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের অনবদ্য সাক্ষ্য

ওল্স্টজিন, পোল্যান্ড: একবিংশ শতাব্দীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর বিদ্যুতের ঝলকানি যখন বিশ্বজুড়ে রেল যোগাযোগকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে, তখনো ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে আছে এক অবিস্মরণীয় ব্যতিক্রম – পোল্যান্ডের ওল্স্টজিন শহর। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখানে আজও নিয়মিত সময়সূচীতে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে কয়লা চালিত বাষ্প ইঞ্জিন, যা আধুনিক বিশ্বে প্রায় বিলুপ্ত এক ঐতিহ্যকে সগৌরবে ধারণ করে আছে।

শতাব্দী প্রাচীন এই বাষ্প লোকোমোটিভগুলো শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয়, বরং ওল্স্টজিনের প্রতিদিনের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বাষ্প ইঞ্জিনগুলো ঠাঁই পেয়েছে জাদুঘরের প্রদর্শনীতে অথবা বিশেষ কোনো ঐতিহ্যবাহী ভ্রমণে, তখন ওল্স্টজিনের ডিপো থেকে প্রতিদিন ইঞ্জিনগুলো কয়লার ধোঁয়া উড়িয়ে লেশনো বা আশেপাশের গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলে। এটি বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি স্থানের মধ্যে অন্যতম, যেখানে আপনি বাষ্প ইঞ্জিনের সগর্জন শোনা এবং তার বিশাল চাকার ঘূর্ণন নিজ চোখে দেখার বিরল সুযোগ পাবেন।

এই ব্যতিক্রমী ধারাবাহিকতার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। একসময় পোল্যান্ডে, বিশেষ করে কমিউনিস্ট শাসনামলে, কয়লার সহজলভ্যতা বাষ্প ইঞ্জিনের ব্যাপক ব্যবহারকে সম্ভব করেছিল। যখন পশ্চিমা দেশগুলো ডিজেল ও বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছিল, পোল্যান্ড তখনো তার বাষ্প শক্তিকে আঁকড়ে ধরেছিল। যদিও নব্বইয়ের দশকে এর ব্যবহার অনেকটাই কমে যায়, ওল্স্টজিনের ডিপোটি অদম্যভাবে টিকে থাকে, হয়ে ওঠে বিশ্বজুড়ে বাষ্প ইঞ্জিন প্রেমীদের তীর্থস্থান।

স্থানীয়দের কাছে এই ট্রেনগুলো শুধুই একটি পরিবহন মাধ্যম নয়, এটি তাদের পরিচয়ের অংশ, একটি জীবন্ত কিংবদন্তি। পর্যটকদের জন্যও এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাষ্প ইঞ্জিনের সশব্দ আগমন, কয়লার মিষ্টি গন্ধ আর বয়লারের চাপা শিস যেন এক ভিন্ন সময়ের চিত্র তুলে ধরে। প্রতি বছর আয়োজিত "প্যারেড অফ স্টিম লোকোমোটিভস" অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাষ্প ইঞ্জিন একত্রিত হয়, যা হাজার হাজার দর্শককে মুগ্ধ করে।

প্রযুক্তির জয়যাত্রার এই যুগে ওল্স্টজিনের বাষ্প ট্রেনগুলো প্রমাণ করে যে, কিছু ঐতিহ্য এতটাই শক্তিশালী যে সময়ের স্রোতেও তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে। এটি কেবল একটি ট্রেনের গল্প নয়, এটি টিকে থাকার গল্প, ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধার গল্প এবং এমন এক সময়ের গল্প যা এখনো সগর্বে বাষ্পের ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে।