স্টারলিঙ্ক ভারতে আসছে: একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন!
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক অবশেষে ভারতে তাদের লাইসেন্স পেয়েছে, যা দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামোতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ট্রায়াল স্পেকট্রাম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে, যা স্টারলিঙ্কের ভারতে আনুষ্ঠানিক প্রবেশের প্রথম ধাপ।
আপনার মস্তিষ্ক প্রতিদিন প্রায় সত্তর হাজার ভাবনা তৈরি করে। তার মধ্যে অনেকটাই নেতিবাচক। আজকে আমি আপনাদের বলবো, মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে, নেগেটিভ মানুষদের সাথে কিভাবে সামলাবেন, এবং চাপ কমানোর তিনটি সহজ টিপস।
মস্তিষ্কের তিনটি প্রধান অংশ আছে। নিওকোর্টেক্স, যেখানে আমাদের যুক্তি-বুদ্ধি কাজ করে। লিম্বিক সিস্টেম, যা আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্রেইন স্টেম, যা আমাদের শরীরের মূল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন আমরা ভয় পাই, তখন লিম্বিক সিস্টেম ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ মোড চালু করে, যার ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হলো, মস্তিষ্ক ভালো-মন্দ বোঝে না; আপনি যা ভাবেন, সেটাই সে সত্যি মনে করে।নেগেটিভ মানুষরা যেন আমাদের মস্তিষ্কে বিষ ঢেলে। তাদের থেকে বাঁচতে হলে প্রথমে শোনেন, কিন্তু বিশ্বাস করবেন না। দ্বিতীয়ত, একটু দূরত্ব বজায় রাখুন, দরজা বন্ধ নয়, জানালা খোলা রাখুন। আর তৃতীয়ত, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, কারণ অন্যরা আপনার মূল্য ঠিক করতে পারে না।
চাপ কমাতে তিনটি সহজ টিপস মেনে চলুন:
প্রথম, গভীর নিঃশ্বাস নিন — চার সেকেন্ডে শ্বাস নিন, চার সেকেন্ড ধরে রাখুন, চার সেকেন্ডে ছাড়ুন।দ্বিতীয়, পাঁচ মিনিটের জন্য নিঃশব্দে বসে থাকুন, ফোন বা অন্য কোনো স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।তৃতীয়, নিজেকে বলুন — “এটাও কেটে যাবে।”
মস্তিষ্কই আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। নেগেটিভ মানুষ এলে হাসুন, চাপ এলে গভীর শ্বাস নিন। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার, এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। নিজের মস্তিষ্ককে ভালোবাসুন, আর সুস্থ থাকুন!
জম্মু ও কাশ্মীর: ভারতের প্রকৌশল দক্ষতা এবং দৃঢ় সংকল্পের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চেনাব রেল সেতু। প্রতিকূল ভূখণ্ড আর দুর্গম পরিবেশকে জয় করে এই সেতু নির্মাণ শুধু একটি প্রকৌশলগত কৃতিত্বই নয়, এটি ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা এবং ভবিষ্যৎমুখী অবকাঠামো তৈরির অঙ্গীকারের প্রতীক। সম্প্রতি এই সেতুর উপরে জাতীয় পতাকা ত্রিবর্ণ উত্তোলন করা হয়েছে, যা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে এক গভীর গর্বের সঞ্চার করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে রেলপথে যুক্ত করার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ এই চেনাব রেল সেতু। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগ প্রকল্পের সবচেয়ে কঠিন অংশ এই সেতুটি। নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার (প্রায় ১১৭৮ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত এই সেতুটি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, তীব্র ঠান্ডা, এবং ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল – সব প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এই বিশাল কাঠামোটি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
এই সেতু নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৌশল কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর নকশা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা ঘণ্টায় ২৬৬ কিলোমিটার বেগে আসা বাতাস এবং তীব্র ভূমিকম্পের ধাক্কা সহ্য করতে সক্ষম। ইস্পাতের তৈরি এই সেতুটির কাঠামোতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের মরিচারোধী ইস্পাত, যা দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
চেনাব রেল সেতু শুধু একটি প্রকৌশল বিস্ময় নয়, এটি ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সেতু কাশ্মীর উপত্যকার মানুষের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে এবং পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এই সেতুর নির্মাণ প্রমাণ করে যে ভারত এখন সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং ভবিষ্যৎমুখী অবকাঠামো নির্মাণে সক্ষম। তেরঙ্গার উত্তোলন শুধু সেতুর উপরে নয়, এটি প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মবিশ্বাস এবং সক্ষমতার প্রতীক। চেনাব রেল সেতু নতুন ভারতের অগ্রগতির এক উজ্জ্বল বার্তা বহন করে, যেখানে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দৃঢ় সংকল্পের সাথে মিলিত হয়। এই সেতু আগামী প্রজন্মকে উন্নত ও সংযুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখাবে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চেনাব রেল সেতুর নির্মাণ ভারতের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এটি কেবল একটি সেতু নয়, এটি সাহস, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত স্থাপন
ওল্স্টজিন, পোল্যান্ড: একবিংশ শতাব্দীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর বিদ্যুতের ঝলকানি যখন বিশ্বজুড়ে রেল যোগাযোগকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে, তখনো ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে আছে এক অবিস্মরণীয় ব্যতিক্রম – পোল্যান্ডের ওল্স্টজিন শহর। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখানে আজও নিয়মিত সময়সূচীতে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে কয়লা চালিত বাষ্প ইঞ্জিন, যা আধুনিক বিশ্বে প্রায় বিলুপ্ত এক ঐতিহ্যকে সগৌরবে ধারণ করে আছে।
শতাব্দী প্রাচীন এই বাষ্প লোকোমোটিভগুলো শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয়, বরং ওল্স্টজিনের প্রতিদিনের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বাষ্প ইঞ্জিনগুলো ঠাঁই পেয়েছে জাদুঘরের প্রদর্শনীতে অথবা বিশেষ কোনো ঐতিহ্যবাহী ভ্রমণে, তখন ওল্স্টজিনের ডিপো থেকে প্রতিদিন ইঞ্জিনগুলো কয়লার ধোঁয়া উড়িয়ে লেশনো বা আশেপাশের গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলে। এটি বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি স্থানের মধ্যে অন্যতম, যেখানে আপনি বাষ্প ইঞ্জিনের সগর্জন শোনা এবং তার বিশাল চাকার ঘূর্ণন নিজ চোখে দেখার বিরল সুযোগ পাবেন।
এই ব্যতিক্রমী ধারাবাহিকতার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। একসময় পোল্যান্ডে, বিশেষ করে কমিউনিস্ট শাসনামলে, কয়লার সহজলভ্যতা বাষ্প ইঞ্জিনের ব্যাপক ব্যবহারকে সম্ভব করেছিল। যখন পশ্চিমা দেশগুলো ডিজেল ও বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছিল, পোল্যান্ড তখনো তার বাষ্প শক্তিকে আঁকড়ে ধরেছিল। যদিও নব্বইয়ের দশকে এর ব্যবহার অনেকটাই কমে যায়, ওল্স্টজিনের ডিপোটি অদম্যভাবে টিকে থাকে, হয়ে ওঠে বিশ্বজুড়ে বাষ্প ইঞ্জিন প্রেমীদের তীর্থস্থান।
স্থানীয়দের কাছে এই ট্রেনগুলো শুধুই একটি পরিবহন মাধ্যম নয়, এটি তাদের পরিচয়ের অংশ, একটি জীবন্ত কিংবদন্তি। পর্যটকদের জন্যও এটি এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাষ্প ইঞ্জিনের সশব্দ আগমন, কয়লার মিষ্টি গন্ধ আর বয়লারের চাপা শিস যেন এক ভিন্ন সময়ের চিত্র তুলে ধরে। প্রতি বছর আয়োজিত "প্যারেড অফ স্টিম লোকোমোটিভস" অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাষ্প ইঞ্জিন একত্রিত হয়, যা হাজার হাজার দর্শককে মুগ্ধ করে।
প্রযুক্তির জয়যাত্রার এই যুগে ওল্স্টজিনের বাষ্প ট্রেনগুলো প্রমাণ করে যে, কিছু ঐতিহ্য এতটাই শক্তিশালী যে সময়ের স্রোতেও তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে। এটি কেবল একটি ট্রেনের গল্প নয়, এটি টিকে থাকার গল্প, ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধার গল্প এবং এমন এক সময়ের গল্প যা এখনো সগর্বে বাষ্পের ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে।
Meghalaya Women’s Cricket Team Makes History | NECDC Champions 2025!"
মেঘালয়ের মহিলা ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক জয়: এনইসিডিএসির আন্তঃরাজ্য টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন
সিকিম, ১২ এপ্রিল ২০২৫ — আজ ইতিহাসের পাতায় নতুন একটি অধ্যায় লিখে দিল মেঘালয়ের মহিলা ক্রিকেট দল। সিকিমে অনুষ্ঠিত ২য় নর্থইস্ট ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (NECDC) এর সিনিয়র মহিলা আন্তঃরাজ্য টুর্নামেন্টে তারা অপরাজিত থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে, হয়ে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন।
প্রতিযোগিতাটি শুরু থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। মেঘালয় দল সেমিফাইনালে দক্ষতার সঙ্গে নাগাল্যান্ডকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। আজকের ফাইনাল ম্যাচেও তাদের প্রতিপক্ষ সিকিম মহিলা দলকে হারিয়ে তুলে নেয় জয়ের মুকুট। টুর্নামেন্টজুড়ে দলের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া – বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং, সবক্ষেত্রেই তারা দেখিয়েছে অসাধারণ দৃঢ়তা ও টিম স্পিরিট।
খেলা শেষে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মেঘালয় দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি ও একটি সম্মানজনক আর্থিক পুরস্কার। খেলোয়াড় ও কোচদের চোখে ছিল আনন্দের অশ্রু, আর মুখে ছিল বিজয়ের হাসি।
মেঘালয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই সাফল্য কেবল একটি জয় নয়, এটি রাজ্যের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন যুগের সূচনা। আমরা চাই এই অর্জন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও অনুপ্রাণিত করুক।”
বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে মহিলা ক্রিকেটের যে উন্নয়ন ঘটছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ মেঘালয়ের এই জয়। এটি নতুন খেলোয়াড়দের আগ্রহী করবে এবং ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের পথ আরও প্রশস্ত করবে।
এই জয়ের মাধ্যমে মেঘালয় দল শুধুমাত্র একটি ট্রফি জয় করেনি, তারা গোটা উত্তর-পূর্বের মেয়েদের জন্য তৈরি করেছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
রামনবমীর পূজো ও মেলার শুভ উদ্বোধনের জন্য আজ রানাঘাটে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার আগেই শুরু হয়েছে উত্তেজনা। রানাঘাটের বিশ্বাস পাড়ায় বিজেপি পার্টি অফিসের আশপাশে পড়েছে 'গো ব্যাক শুভেন্দু' পোস্টার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।"
গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন নদিয়ার চাকদা থানার পালপাড়া একতারপুর এলাকার যুবকরা। একসময় যেই খেলা ছিল আনন্দের অন্যতম মাধ্যম, আজ সেটাকেই ফিরিয়ে আনলেন মোবাইল আসক্তির যুগে। প্রায় ৫০টি দল অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়।
রানাঘাট রামনগরের বাসিন্দা পুলক কর্মকারের ছবি দ্বিতীয়বারের জন্য মুম্বাইয়ের এক বিখ্যাত শিল্প প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। তাঁর সৃজনশীল কাজ এবারও বিভিন্ন নামী চিত্রশিল্পীদের সাথে সমানভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। নদীয়া জেলার গর্ব পুলক কর্মকার তাঁর চিত্রশিল্পের মাধ্যমে শিল্প জগতে নিজের বিশেষ স্থান করে নিচ্ছেন।
শিল্প প্রদর্শনীটি মুম্বাইয়ের একটি নামকরা আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে ভারতের খ্যাতনামা শিল্পীদের আঁকা ছবি প্রদর্শিত হবে। পুলক কর্মকারের ছবি আগেও বিভিন্ন প্রদর্শনীতে প্রশংসিত হয়েছে এবং এবারও তাঁর শিল্পকর্ম নতুন মাত্রা অর্জন করতে চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও শিল্পপ্রেমীরা পুলক কর্মকারের এই সাফল্যে গর্বিত। রানাঘাট তথা নদীয়া জেলার জন্য এটি একটি বড় সম্মানের বিষয়। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যে আবেগ ও দক্ষতার মেলবন্ধন রয়েছে, তা শুধু স্থানীয় নয়, বরং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্প মহলেও সমাদৃত হচ্ছে।
এই সাফল্য শুধুমাত্র পুলক কর্মকারের জন্য নয়, বরং সমগ্র নদীয়া জেলার জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। ভবিষ্যতে তাঁর শিল্প আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক, এই আশা রাখছেন সকলেই।
ছোট্ট আস্মিকার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন সাড়া শুভেন্দু অধিকারীর
রানাঘাট: রানাঘাটের স্বামী বিবেকানন্দ সরণির দাসপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও লক্ষ্মী দাসের কন্যা, ছোট্ট আস্মিকা একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন একটি বিশেষ ইঞ্জেকশন, যার মূল্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় শুভঙ্কর ও লক্ষ্মী দাসের পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা একপ্রকার অসম্ভব।
এই পরিস্থিতিতে, শিশুটির চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে শুভঙ্কর বাবু সকলের কাছে আবেদন জানান। তার এই আবেদন সাড়া ফেলেছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে। এই মানবিক উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, তিনি তার বিধায়ক হিসেবে পাওয়া বেতনের থেকে ১০ লক্ষ টাকা ছোট্ট আস্মিকার চিকিৎসার জন্য শুভঙ্কর বাবুর হাতে তুলে দেন।
তবে, এখনো প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রয়োজন রয়েছে, যা একমাত্র সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সংগ্রহ করা সম্ভব। শিশুটির সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়েছে। যে কোনো পরিমাণ আর্থিক সহায়তা আস্মিকার পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমরা ছোট্ট আস্মিকার ভবিষ্যতকে আরো সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে পারি। আসুন, মানবতার সেবায় আমরা সকলে একসঙ্গে এগিয়ে আসি।