অনুসরণকারী/follow

SOCIAL MEDIA

Translate

শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

Dinkaal india:কলকাতা ডার্বিতে NRC CAA নিয়ে বার্তা দিতে চলেছে হিন্দুমহাসভা

Kolkata:কলকাতা ডার্বিতে NRC CAA নিয়ে বার্তা দিতে চলেছে হিন্দুমহাসভা

খেলার মাঠে রাজনীতি কখনোই কাম্য নয়। অখিলভারত হিন্দুমহাসভা বরাবর বলে এসেছে এবং বিশ্বাস করেছে খেলার মাঠ, শিল্প সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক জগৎ হওয়া উচিৎ রাজনীতি নিরপেক্ষ । কিন্তু তাদের বক্তব্য এর অর্থ তো এটা নয় যে NRC ও CAA নিয়ে রাষ্ট্রশক্তি মানুষদের অস্তিত্ব নিয়ে খেলা করবে কিন্তু ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল হয়েও হিন্দুমহাসভা চুপ করে থাকবে । 


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এই বার্তাই দেবে হিন্দু মহাসভা । কিন্তু আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ন ডার্বি ম্যাচে উপস্থিত থাকতে চলেছে প্রায় শতাধিক অখিলভারত হিন্দুমহাসভা কর্মী সমর্থকরা । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর কথায় হিন্দুমহাসভার সহযোদ্ধারা বিগত এক মাস ধরে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থকদের সাথে আলোচনা করে NRC ও CAA নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদেরই সচেতন করেছেন । আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেও হিন্দুমহাসভার কর্মীরা বিপুল সংখ্যায় টিকিট কেটে আসছেন এবং ব্যানার, পোস্টার ও জনসংযোগের মাধ্যমে আসন্ন CAA ও NRC প্রয়োগ করে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করতে চলেছেন ।


 হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর স্পষ্ট বক্তব্য দেশ ভাগের বলী হওয়া হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধদের যদি NRC এর লাইনে দাড়াতে হয় তাহলে সেটা রাষ্ট্রের লজ্জা । CAA প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য যে মুসলমান ও খ্রিস্টান ভাইরা বসুধৈব কুটম্বকম বিশ্বাস করেন, যারা বংশ পরম্পরায় এই দেশেই আছেন এবং দেশকে মায়ের মত ভালোবাসেন তাদের সাথে সাথে হিন্দুমহাসভার কোনো সংঘাত নেই । তাদের তারা বুকে আলগে রাখবেন । কিন্তু যারা এখনও বাংলাদেশী এবং নানারকম দুষ্কর্মের সাথে যুক্ত, শুধুমাত্র ভারতে বেআইনি ভাবে সংখ্যাবৃদ্ধি করে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করতে চায় তাদের স্থান ভারতে নেই । সবচেয়ে বড় কথা এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের দুনম্বরি ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড কারা করে দিল ? এই সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ও আধিকারিকরা তাদের কৃতকর্মের জন্য দেশদ্রোহিতার অপরাধে শাস্তি পাবেনা কেন ? চন্দ্রচূড় বাবু আরো বলেন মতুয়া সহ সমস্ত সনাতনী জাতীয়তাবাদী মানুষদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে । সেই সাথে যতদিন না রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পঞ্জিকরণ প্রক্রিয়া ত্রুটিহীন ভাবে সম্পূর্ন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই অবৈধ তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিৎ কারণ মতুয়াদের এবং আরো কিছু প্রান্তিক সনাতনী মানুষদের যদি নাগরিকত্ব না থেকে থাকে তাহলে তাদের ভোটে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদেরও সাংসদ বা বিধায়ক পদ বাতিল হওয়া উচিৎ । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হিন্দুমহাসভার জনসচেতন কর্মসূচী যে আজ ডার্বির উত্তাপকে আরো বাড়াবে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।*

কোন মন্তব্য নেই: